“শিক্ষার্থী নয় বরং বই-ই অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীদের জন্য”
আগামী ১লা জানুয়ারী সারাদেশ ব্যাপী উদযাপিত হবে “বই উৎসব”। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৫ কোটিরও বেশি বই তুলে দিবে সরকার।
নতুন বইয়ের দৃষ্টি নন্দন রংয়ের ঝলকানি ও খড়খড়া গন্ধে বিমোহিত হবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “রূপকল্প ২০২১” বাস্তবায়নে সরকারের অন্যতম সাফল্য হলো বছরের প্রথম দিন সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী, কৌতূহলী ও মনোযােগী করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পাঠ্যপুস্তকগুলো চার রঙে উন্নীত করে আকর্ষণীয়, টেকসই ও বিনামূল্যে বিতরণ করার মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে সকল শিশুর জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, ঝড়ে পড়া রোধ, শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিগত ২০১০ সাল থেকে সরকার (শেখ হাসিনা সরকার) প্রাথমিক,ইবতেদায়ী, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনালসহ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে যা একটি ব্যতিক্রমী প্রয়াস। ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বই (ব্রেইল) বিতরণ করছে সরকার। একই বছর থেকে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির (চাকমা,মারমা, সাদ্রি,ত্রিপুরা ও গারো) শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ হচ্ছে। এক দশক আগেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষের শুরুতে পাঠ্যবই পেতনা। অপেক্ষার প্রহর গুণত কখন বই হাতে পাবে। চিত্র এখন পাল্টে গেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়, বিপ্লবী নেতৃত্বে বছর শুরু হওয়ার আগেই বই পৌছে যায় শিক্ষার্থীদের দোড়গোড়ায়। এখন আর শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হয়না নতুন বইয়ের জন্য বরং “বই-ই এখন অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীদের জন্য”।
মোঃ রুহুল আমিন
সহকারী শিক্ষক
গণেশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মোবা: ০১৭২৫-২৮৪৩৩৬