মো.শাহজাহান মিয়া ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। এতে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এগিয়ে রয়েছেন। তবে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী নির্বাচন বর্জন করেছেন। যদিও আ.লীগের প্রার্থী এমএ মান্নানের নৌকা প্রতীকের সাথে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতায় আছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী।
৩০ ডিসেম্বর রোববার সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র সরজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে নিরপেক্ষ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জমাত উল্লাহ কেন্দ্র, উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না কেন্দ্র ও রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে আ.লীগের প্রার্থী এমএ মান্নানের নৌকা প্রতীকে টেবিল কাস্ট ভোট দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া উপজেলার বেশির ভাগ কেন্দ্রে এমন ঘটনার অভিযোগ করেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর নেতাকর্মীরা। তবে কোথাও বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফলে আ.লীগের প্রার্থী এমএ মান্নান এগিয়ে রয়েছেন এবং সন্ধ্যায় তাঁর সমর্থনে বিজয় মিছিল করেছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। যদিও এখন পর্যন্ত সকল কেন্দ্রের ফলাফল আসেনি বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেন, দুপুরের পর থেকে ভোট কারচুপি শুরু হয়। এ সময় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসারের কাছে ভোট কারচুপির লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমি নির্বাচন বর্জন করেছি।
যদিও সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে পরে কথা হবে বলে জানানো হয়।