বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়লো ২০১৮ সাল। আগামী বছরের ৫ই জানুয়ারি শুরু হবে বিপিএলের ষষ্ঠ আসর। সাত দলের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ৮ই ফেব্রুয়ারি। ডিসেম্বরের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে ঠিক করা হয়েছে এবারের আসরের সূচি। তবে জাতীয় নির্বাচনের সময় এদিক-সেদিক হলে বিপিএল’র সময়সূচিও বদলে যাবে। রোববার বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় আরো বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে জটিলতা দূর করতে বিপিএলে প্রথমবার ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) দেখা যেতে পারে। এছাড়া প্রতি ম্যাচে একজন করে বিদেশি আম্পায়ার রাখার কথাও আলোচনায় এসেছে। একাদশে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৫ জন থেকে ৪ জনে নামিয়ে আনা হতে পারে। সুপারিশগুলো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বোর্ড সভায় তুলে ধরা হবে।
অক্টোবরে প্লেয়ার্স ড্রাফট হওয়ার কথা রয়েছে। গতবারের স্কোয়াড থেকে এবার প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ৪ জন ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো চাচ্ছে, নির্দিষ্ট করে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা নির্ধারণ কয়ে দেয়া হোক। ড্রাফটের বাইরে দলগুলো কতজন ক্রিকেটার নিতে পারবে তারও একটি সংখ্যা বেঁধে দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য সংখ্যা ৩ জন হতে পারে। প্লেয়ার ড্রাফটে আগে ইচ্ছামতো বিদেশি ক্রিকেটার দলে নেয়া হতো। যখন যিনি সময় দিতেন তাকেই খেলানো যেত। এবার সে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটতে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ ১২ স্থানীয় ও ৮ জন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের প্রস্তাব দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
গত আসরের মতো এবারো খেলা হবে তিনটি ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। প্রথমে এবারের বিপিএল হওয়ার কথা ছিল অক্টোবর-নভেম্বরে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে এতগুলো দলকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার ঝুঁকি থেকে আগেই নির্বাচনের পর টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক্ষেত্রে পরের বিপিএল আগামী বছর নাও হতে পারে। সভায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে, এক বছরে যেন একটিই বিপিএল হয়।